শরীরের তাপমাত্রার উপর প্রভাব ফেলতে পারে এমন অনেকগুলো বিষয় আছে।
পরিবেশগত বিষয়:
- তাপমাত্রা: বাইরের তাপমাত্রা বেশি হলে শরীরের তাপমাত্রাও বেড়ে যায়।
- আর্দ্রতা: বাতাসে যত বেশি আর্দ্রতা থাকে, তত বেশি কঠিন মনে হয় গরম সহ্য করা।
- সূর্যের আলো: সরাসরি সূর্যের আলোয় থাকলে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বেড়ে যেতে পারে।
- পোশাক: গরমের পোশাক পরলে শরীর ঠান্ডা থাকে।
- ব্যায়াম: ব্যায়াম করলে শরীরে তাপ উৎপন্ন হয়।
শারীরিক বিষয়:
- খাদ্য: কিছু খাবার, যেমন মশলাযুক্ত খাবার, শরীরের তাপমাত্রা বাড়াতে পারে।
- হরমোন: কিছু হরমোন, যেমন থাইরয়েড হরমোন, শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
- অসুস্থতা: জ্বর, সংক্রমণ, এবং কিছু ওষুধ শরীরের তাপমাত্রা বাড়াতে পারে।
- বয়স: শিশু এবং বৃদ্ধদের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হতে পারে।
- গর্ভাবস্থা: গর্ভবতী মহিলাদের শরীরের তাপমাত্রা সামান্য বেশি থাকে।
মানসিক বিষয়:
- মানসিক চাপ: মানসিক চাপ শরীরের তাপমাত্রা বাড়াতে পারে।
- উদ্বেগ: উদ্বেগের কারণে ঘাম হতে পারে, যা শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
ওষুধ:
- কিছু ওষুধ, যেমন অ্যান্টিবায়োটিক এবং স্টেরয়েড, শরীরের তাপমাত্রা বাড়াতে পারে।
এছাড়াও:
- অ্যালকোহল: অ্যালকোহল রক্তনালী প্রসারিত করে এবং ঘাম বাড়ায়, যা শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
- ক্যাফেইন: ক্যাফেইন হৃদস্পন্দন এবং রক্তচাপ বাড়াতে পারে, যা শরীরের তাপমাত্রাও বাড়াতে পারে।
মনে রাখবেন, শরীরের তাপমাত্রা সাধারণত 98.6°F (37°C) এর কাছাকাছি থাকে।
তবে, কিছু ব্যক্তির জন্য স্বাভাবিক তাপমাত্রা 97°F (36.1°C) থেকে 99°F (37.2°C) এর মধ্যে হতে পারে।
যদি আপনার শরীরের তাপমাত্রা 100.4°F (38°C) এর বেশি থাকে, তাহলে এটি জ্বরের লক্ষণ হতে পারে এবং একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।