হ্যাঁ, শরীরের তাপমাত্রা কমে গেলে ক্লান্তি অনুভব করাটা স্বাভাবিক। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে 98.6°F (37°C) এর কাছাকাছি। যখন শরীরের তাপমাত্রা 95°F (35°C) এর নিচে নেমে যায়, তখন এটিকে হাইপোথার্মিয়া বলা হয়। হাইপোথার্মিয়ার কিছু লক্ষণ হলো:
- ক্লান্তি
- কাঁপুনি
- বিভ্রান্তি
- স্পষ্টভাবে কথা বলতে অসুবিধা
- সমন্বয় হারানো
- শক্ত হয়ে যাওয়া
- চেতনা হারানো
হাইপোথার্মিয়া বিপজ্জনক হতে পারে এবং মৃত্যুর কারণ হতে পারে। যদি আপনি মনে করেন যে আপনার বা আপনার পরিচিত কারও হাইপোথার্মিয়া হয়েছে, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসা সহায়তা নিন।
শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কিছু কারণ:
- ঠান্ডা আবহাওয়া: ঠান্ডা আবহাওয়ায় শরীর দ্রুত তাপ হারায়।
- ভেজা থাকা: ভেজা থাকলে শরীর দ্রুত তাপ হারায়।
- অপর্যাপ্ত পোশাক: ঠান্ডা আবহাওয়ায় পর্যাপ্ত পোশাক না পরলে শরীর দ্রুত তাপ হারায়।
- কিছু ওষুধ: কিছু ওষুধ শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
- কিছু চিকিৎসা অবস্থা: কিছু চিকিৎসা অবস্থা, যেমন ডায়াবেটিস এবং থাইরয়েড সমস্যা, শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়া রোধ করার কিছু উপায়:
- গরম পোশাক পরুন: ঠান্ডা আবহাওয়ায় স্তরে স্তরে পোশাক পরুন।
- শুষ্ক থাকুন: ভিজে গেলে দ্রুত পোশাক পরিবর্তন করুন।
- প্রচুর তরল পান করুন: ঠান্ডা আবহাওয়ায়ও ডিহাইড্রেশন হতে পারে।
- নিয়মিত খাবার খান: খাবার শরীরে তাপ উৎপন্ন করে।
- মদ্যপান এড়িয়ে চলুন: মদ্যপান রক্তনালী প্রসারিত করে এবং শরীরের তাপ হারানো বাড়ায়।
- ধূমপান ত্যাগ করুন: ধূমপান রক্তনালী সংকুচিত করে এবং শরীরের তাপ হারানো বাড়ায়।
- আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন: যদি আপনার কোনও চিকিৎসা অবস্থা থাকে যা আপনার শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণকে প্রভাবিত করতে পারে, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
আপনার যদি ক্লান্তি অনুভব হয় এবং আপনার মনে হয় আপনার শরীরের তাপমাত্রা কমে গেছে, তাহলে উষ্ণ পোশাক পরুন, গরম তরল পান করুন এবং বিশ্রাম নিন।