দিনের বেলা ঠান্ডা আর রাতে গরম লাগার পেছনে বেশ কিছু কারণ আছে।
প্রধান কারণগুলো হল:
- সূর্যের আলো: সূর্য হলো আমাদের পৃথিবীর প্রধান তাপ উৎস। দিনের বেলা সূর্যের সরাসরি আলো পৃথিবীর পৃষ্ঠে এসে পড়ে, যার ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। রাতে, সূর্য আকাশে থাকে না, তাই পৃথিবী তার তাপ বিকিরণ করে ঠান্ডা হতে থাকে।
- বায়ুমণ্ডল: বায়ুমণ্ডল একটি কম্বলের মতো কাজ করে, পৃথিবীর তাপ ধরে রাখে। দিনের বেলা, বায়ুমণ্ডল সূর্যের তাপ শোষণ করে এবং পৃথিবীতে ধরে রাখে। রাতে, বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর তাপ বিকিরণে সাহায্য করে, যার ফলে তাপমাত্রা কমে যায়।
- আর্দ্রতা: বাতাসে যত বেশি আর্দ্রতা থাকে, তত বেশি গরম লাগে। কারণ, আর্দ্র বাতাস আমাদের শরীর থেকে ঘাম বাষ্পীভূত হতে বাধা দেয়, যা আমাদের শরীরকে শীতল করতে সাহায্য করে। দিনের বেলা, সাধারণত রাতের তুলনায় বাতাসে কম আর্দ্রতা থাকে।
- মেঘ: মেঘ সূর্যের আলোকে প্রতিফলিত করে এবং পৃথিবীতে পৌঁছাতে বাধা দেয়। তাই, যখন আকাশে মেঘ থাকে, তখন দিনের বেলাও তেমন গরম লাগে না।
- বাতাস: বাতাসের প্রবাহ তাপমাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারে। ঠান্ডা বাতাস এলে তাপমাত্রা কমে যায়, এবং গরম বাতাস এলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
আপনার এলাকায় দিনের বেলা ঠান্ডা এবং রাতে গরম লাগার কিছু অতিরিক্ত কারণ হতে পারে:
- স্থানীয় ভূপ্রকৃতি: পাহাড়ি এলাকায় সাধারণত সমতল ভূমির তুলনায় দিনের বেলা ঠান্ডা এবং রাতে গরম থাকে। কারণ, পাহাড়ে বাতাস ঠান্ডা থাকে এবং তাড়াতাড়ি রাত হয়।
- শহুরে এলাকা: শহুরে এলাকায়, কংক্রিট এবং অ্যাসফল্টের মতো নির্মাণ সামগ্রী দিনের বেলা সূর্যের তাপ শোষণ করে এবং রাতে তা ধীরে ধীরে ছেড়ে দেয়। এর ফলে শহুরে এলাকায় রাতের তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে।
মনে রাখবেন: আবহাওয়া একটি জটিল ব্যবস্থা এবং উপরে উল্লেখিত কারণগুলো ছাড়াও আরও অনেক বিষয় দিনের বেলা এবং রাতের তাপমাত্রার পার্থক্যকে প্রভাবিত করতে পারে।