মাতৃমৃত্যুর প্রধান তিনটি কারণ হল:
১) প্রসবের সময় জটিলতা:
- প্রসবের সময় রক্তক্ষরণ (হেমোরেজ)
- প্রসবকালীন সংক্রমণ (সেপসিস)
- টোকোলাইসিস (প্রসব বন্ধ হয়ে যাওয়া)
- অবস্থানগত জটিলতা (যেমন, অস্বাভাবিক ভ্রূণের অবস্থান)
২) গর্ভাবস্থার পূর্ববর্তী জটিলতা:
- উচ্চ রক্তচাপ (প্রি-এক্লাম্পসিয়া)
- ডায়াবেটিস
- হৃদরোগ
- অ্যানিমিয়া
৩) প্রসবপূর্ব যত্নের অভাব:
- নিয়মিত গর্ভপরীক্ষার অভাব
- জরুরী চিকিৎসা সুবিধা অ্যাক্সেস করতে না পারা
- অদক্ষ ধাত্রীর মাধ্যমে প্রসব
- অল্প বয়সে বিবাহ ও প্রথম সন্তান জন্মদান
এই তিনটি কারণ ছাড়াও, মাতৃমৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ানোর আরও অনেকগুলো কারণ রয়েছে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মতে, প্রতিদিন প্রায় 800 জন নারী গর্ভাবস্থা বা প্রসবের সময় জটিলতায় মারা যান।
- 2020 সালে, মাতৃমৃত্যুর হার ছিল প্রতি 100,000 জীবন্ত জন্মে 239 জন মৃত্যু।
- সাব-সাহারান আফ্রিকায় মাতৃমৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি, যেখানে প্রতি 100,000 জীবন্ত জন্মে 542 জন মৃত্যু।
- বাংলাদেশে, 2020 সালে মাতৃমৃত্যুর হার ছিল প্রতি 100,000 জীবন্ত জন্মে 176 জন মৃত্যু।
মাতৃমৃত্যু হ্রাসের জন্য:
- নিয়মিত গর্ভপরীক্ষা নিশ্চিত করা
- জরুরী চিকিৎসা সুবিধা অ্যাক্সেস বৃদ্ধি করা
- দক্ষ ধাত্রী প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা
- মায়েদের মধ্যে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা
- নারীর বয়স বিবাহ ও প্রথম সন্তান জন্মদানের জন্য বাড়ানো
মাতৃমৃত্যু একটি জটিল সমস্যা যার সমাধানের জন্য বহুমুখী পদক্ষেপ প্রয়োজন। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা এই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে যেতে পারি এবং গর্ভবতী নারীদের জন্য নিরাপদ ও সুস্থ জন্মদান নিশ্চিত করতে পারি।