মাতৃস্বাস্থ্য বিভিন্ন ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে প্রভাবিত করে, যার মধ্যে রয়েছে:
গর্ভবতী ও প্রসববতী মহিলারা:
- তারা সবচেয়ে সরাসরি প্রভাবিত, কারণ তারা গর্ভাবস্থা, প্রসব এবং প্রসবোত্তর সময়কালে বিভিন্ন স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্মুখীন হয়।
- প্রসবকালীন জটিলতা, রক্তপাত, সংক্রমণ এবং প্রাক-বিদ্যমান স্বাস্থ্য অবস্থা মাতৃমৃত্যুর প্রধান কারণ।
শিশুরা:
- মায়ের স্বাস্থ্য শিশুর স্বাস্থ্য ও বেঁচে থাকার সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করে।
- কম ওজনের সাথে জন্মগ্রহণ, অপুষ্টি এবং সংক্রমণ মায়ের খারাপ স্বাস্থ্যের সাথে যুক্ত।
পরিবার ও সম্প্রদায়:
- মাতৃমৃত্যু বা দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা পরিবারের উপর আর্থিক ও মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
- এটি সম্প্রদায়ের উৎপাদনশীলতাও কমিয়ে দিতে পারে।
সরকার ও নীতি নির্ধারক:
- মাতৃস্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য নীতি ও কর্মসূচি তৈরি ও বাস্তবায়নের জন্য তারা দায়ী।
- পর্যাপ্ত তহবিল বরাদ্দ এবং কার্যকর পরিষেবা প্রদান নিশ্চিত করা তাদের দায়িত্ব।
স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী:
- তারা গর্ভবতী ও প্রসববতী মহিলাদের প্রয়োজনীয় যত্ন প্রদান করে।
- তাদের মধ্যে রয়েছে ডাক্তার, নার্স, দাই এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী।
অন্যান্য সংস্থা:
- নাগরিক সমাজ সংস্থা, দাতব্য সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিও মাতৃস্বাস্থ্য উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মাতৃস্বাস্থ্য একটি জটিল সমস্যা যা বিভিন্ন ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে প্রভাবিত করে। এর উন্নতির জন্য সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
মনে রাখবেন:
- মাতৃস্বাস্থ্য উন্নতিতে অবদান রাখার জন্য আপনি অনেক কিছু করতে পারেন।
- আপনি যদি গর্ভবতী হন তবে নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা পরীক্ষা করুন এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারা অনুসরণ করুন।
- মাতৃস্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং নীতি পরিবর্তনের জন্য সমর্থন করতে আপনি আপনার সম্প্রদায়ের সাথে জড়িত হতে পারেন।